সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী

জিলহজ আলী
সুহৃদ প্রকাশন বুকস্ এও কম্পিউটার কমপ্লেক্স ৩৮/৩, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০
মোবাইল: ০১৭১২১৫৩৩৬২
প্রকাশকাল প্রথম প্রকাশ : জুলাই-২০০৯ তৃতীয় প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি-২০১৬
প্রচ্ছদ হামিদুল ইসলাম
লিপিসজ্জা জুবায়ের হুসাইন
ISBN : 984-632-076-0
দাম : একশত বিশ টাকা
বইটি এখান থেকে ডাউনলোড করুন
ভুমিকা
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর খুব বেশীদিন লাগেনি ইসলামের আলাে চুতর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে।
খােলাফায়ে রাশেদার শাসনামলের মধ্যেই এ আলাে দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মুসলমানেরা দেশের পর দেশ জয় করতে থাকে, সাথে সাথে মুসলমানদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
এ সময়ে মুসলমানেরা শুধু জয়যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত ছিল না, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায়ও তারা সমান তালে এগিয়ে যায়।
বাঙালিদের কাছে মধ্যযুগ শব্দটি একটা গালি বলে পরিচিত।
যুগটি বা ঐ কালটি মধ্যযুগীয় বর্বতা, অন্ধাকার যুগ ইত্যাকার বিশেষণে বিশেষিত বা চিহ্নিত।
কিন্তু কেন? আমাদের কাছে তাে মনে হয় মধ্যযুগটিই মুসলমানদের সােনালী যুগ।
একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে মধ্য যুগের মুসলিম মনীষীগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে এত বিপুল ও বিশাল অবদান রেখেছেন, যে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ সেই অবদানের কথা কখনই অস্বীকার করতে পারবে না।
আর মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের যে ফিরিস্তি তা তাে অনেক বিস্তৃত।
“ইকরা বা পড় এ শব্দটি দিয়েই কুরআন নাযিল শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ‘পড়’ এটাই পৃখিবী বাসির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ প্রথম শব্দ।
জ্ঞান চর্চার এ তাকিদ আর কোন ধর্ম গ্রন্থের শুরুতে আছে বলে আমার জানা নেই।
প্রথম যুগের মুসলমানেরা আত্মাহর এ নির্দেশ মেনে নিয়েছিলেন।
তাঁরা সে অনুযায়ী তাদের জীবনকে গড়ে তুলেছিলেন।
যে কারণে তাদের মধ্য থেকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মবেত্তা, ধর্মনেতা, সেনাপতি, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ, অংক শাস্ত্রবিদ, রসায়নবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোতিষী প্রভৃতি নানা শাখার ব্যক্তিত্ব, মনীষীরা বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন।
মুসলিম শাসকগণ, সেনাপতি, ধর্মবেত্তাগণ দিনে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতেন নিষ্ঠার সাথে।
আর রাতের বেলায় তারা ইবাদত বন্দেগীর পাশাপাশি গভীর পড়াশুনা ও জ্ঞান পবেষণায় ডুবে থাকতেন।
এটা ছিল মুসলমানদের ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজ মুসলমানরা জ্ঞান-গবেষণার পরিবর্তে পরচর্চায় ব্যস্ত থাকে।
অন্যদিকে তথাকথিত এক শ্রেণীর মুসলিম নামধারী বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবীরা মত্ত থাকেন ইসলাম ও মুসলমানদের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করার কাজে। কষ্ট লাগে তাদের জন্য।
তারা যদি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কল্যাণকর জ্ঞান-গবেষণায় রত থাকতেন তাহলে তাদেরসহ দেশ ও জাতি কতই না উপকৃত হতাে।
আমরা ‘সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী’ শিরােনামের এ গ্রন্থটিতে ইসলামের উনেষ পর্ব থেকে ইসলামের বিস্তার অর্থাৎ মধ্যমগ পর্যন্ত যে সমস্ত মুসলিম বিজ্ঞানী রাতদিন মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন তাদের পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
পুরােপুরি সফলতার সাথে কাজটি করতে পেরেছি তা বলবাে না।
তবে চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব। আরও তথ্য উপাত্ত পেলে পরবর্তী সংস্করণে তা সংযােজন করার ইচ্ছে রইল ।
‘সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী গ্রন্থটি ছেলে-বুড়ো সবারই সমান ভাবে ভালাে লাগবে বা কাজে লাগবে এই প্রত্যাশা।